ছয়জন বদমাশ
-নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত
আমাদের চারপাশে ঘোরেফেরে ছয়জন বদমাশ খুনি
সুযোগ পেলেই তারা কেড়েনেবে সবকিছু মায় প্রাণটাও
তারই মাঝে খেলাঘর গড়ে তুমি মায়ার সংসার সাজাও
ভাবো : শক্তপোক্ত এই ঘরবাড়ি চারদিকে ইঁটের গাঁথুনি।
কখনও ঘ্রাণ ছেড়ে উড়ে যায় পুড়ে যায় সময়ের ডানা
বৃথাই আগুন জ্বালি অসমর্থ শীতগ্রস্ত গুহার বিবরে
বদমাস ছয়জন থেকে যায় সময়ের ডানার ভিতরে
যতই পবিত্র হোক শীতার্ত দেহে গঙ্গাজল কেউ ছিটোবেনা।
ছয়জন বদমাশই রোমশ দুইহাত বাড়িয়ে রেখেছে
যখন কেউ সুখস্বপ্নে দেখে প্রজাপতির পাখার বিস্তার
তখন ওরা উল্লাসে মাতে।ভাবে : জুটেযাবে নিশ্চিত আহার
হয়তো আমাকেও টিকটিকির মতো মাথা উঁচিয়ে দেখেছে।
ছয়জন বদমাশ গিরগিটি ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায়
হঠাৎ কুয়াশায় ঢেকে দেয় মধ্যরাতের পৌর্ণমাসী চাঁদ
বিষণ্ণতা ডেকে আনে,চারপাশে পেতে রাখে অনিবার্য ফাঁদ
অসংখ্য শরীর চাপা পড়ে ছয়দস্যুর পায়ের তলায়।
তবুও তো রাতের চাঁদতারায় কার যেন হাসি ঝলকায়
কেউ একদিন বেড়ি পরাবেই বদমাস ছজনের পায়।